হাইড্রোনেফ্রোসিস, কারণ, লক্ষণ, ডায়াগনোসিস, জটিলতা এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ( Hydronephrosis, Causes, Symptoms, Diagnosis, Complication and Homeopathy treatment )
কিডনি স্ফীতি বা প্রস্রাবের স্বাভাবিক নিষ্কাশন ব্যর্থ হলে যে অবস্থাটা লক্ষ্য করা যায় সেটাই হলো হাইড্রোনেপ্রোসিস। সাধারণত এই স্ফীতি শুধুমাত্র একটি কিডনিকে প্রভাবিত করে, কিন্তু উভয়টিই আক্রান্ত হতে পারে। হাইড্রোনেফ্রোসিসকে (Hydronephrosis) সরাসরি রোগ না বলে একটা Structural Condition বলা যেতে পারে। এটা প্রস্রাবের নালীর মধ্যে একটি প্রতিবন্ধকতার ফলাফল।
কিডনির সাথে মূত্রথলির সংযোগকারী নালী রয়েছে যাকে ইউরেটার বা মূত্রনালী বলে। অনেকে আবার এটাকে সরাসরি কিডনি নালীও বলে থাকেন। এই নালী ২৫ সেমি-এর মতো লম্বা। এর তিনটি জায়গায় একটু চাপা রয়েছে। প্রথমটি হলো কিডনির পেলভিসের সাথে ইউরেটারের সংযোগ স্থান, দ্বিতীয়টা যখন পেলভিক সেতু পার করে এবং তৃতীয়টা যখন মূত্রনালী প্রস্রাবের থলিতে প্রবেশ করে। কোনো কারণে যদি কিডনি নালী সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যায় তখন এর ফলে কিডনির ভিতরে প্রস্রাব জমা হয়ে কিডনি আকারে বড়/স্ফীত হয়ে যায় যাকে বলা হয় হাইড্রোনেফ্রোসিস।
হাইড্রোনেফ্রোসিসের কারণ :-
বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন -
* পেল্ভি-ইউটেরিক সংযোগ স্থানে প্রতিবন্ধকতা
* কিডনিতে পাথর হলে
* কিডনিতে সিস্ট বা টিউমার হলে
* নেফ্রনে ময়লা জমে প্রতিবন্ধকতা (Obstruction) সৃষ্টি হয়
* জন্মগত ভাবে বা আঘাত জনিত কারণে মূত্রনালী এর সংকীর্ণতা
হাইড্রোনেফ্রোসিসের লক্ষণ :-
উল্লেখযোগ্য লক্ষণগুলি হলো :-
* বমি বমি ভাব এবং বমি
* পেট বা পার্শ্ব ব্যথা
* প্রস্রাব করার সময় ব্যথা / জ্বালাপোড়া
* ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ
* বেগ পাওয়ার সাথে সাথেই প্রস্রাব করতে হয়
* জ্বর জ্বর ভাব
রোগ নির্ণয়ঃ
হাইড্রোনেফ্রসিস ইমেজিং পরীক্ষায় পাওয়া যায়ঃ
* পেটের এমআরআই (Abdominal MRI)
* পেটের বা কিডনীর সিটি স্ক্যান
* ইন্ট্রাভেনাস পায়েলোগ্রাম (IVP)
* আইসোটোপ রেনোগ্রাফি (কিডনী স্ক্যান)
* কিডনী বা পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম
সম্ভাব্য জটিলতাঃ
হাইড্রোনেফ্রোসিস সঠিক ভাবে চিকিৎসা না করা হলে, কিডনি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা নষ্ট হতে পারে। অন্য কিডনি সাধারণত স্বাভাবিকভাবে কাজ করলে, কিডনি ফেইলোর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। যাই হোক, রোগীর শুধুমাত্র একটি কিডনি কার্যকরী থাকলে, একসমসয় অন্য কিডনি ফেইলোর ঘটবেই।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ
কারণের উপর ভিত্তি করেই এটার চিকিৎসা নির্ভর করবে। হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি, তাই সম্পূর্ণ লক্ষণ সংগ্রহ করে সঠিক ওষুধ প্রয়োগ করে হাইড্রোনেফ্রসিস বা স্ফিত কিডনি আরোগ্য করা সম্ভব। নিম্নে হাইড্রোনেফ্রসিস চিকিৎসা সহায়ক কয়েকটি হোমিওপ্যাথিক ওষুধের নাম উল্লেখ করা হলোঃ
এপিস মেল, আর্সেনিক এল্ব, বার্বারিস ভুল, ক্যান্থারিস, ক্যাল্কেরিয়া কার্ব, হেলেবুরাস, ক্যালি মিউর, থুজা, টেরিবিন্থ, ভেসিকেরিয়া, মার্ক কর, হাইড্রাঞ্জিয়, পেরেইরা ভ্রাবা, সেরাম ইগুইলি(Eel Serum), জিঞ্জিবার অফিসিনালিস এবং আরোও অন্যান্য কিছু হোমিওপ্যাথিক ওষধ।
কিডনি স্ফীতি বা প্রস্রাবের স্বাভাবিক নিষ্কাশন ব্যর্থ হলে যে অবস্থাটা লক্ষ্য করা যায় সেটাই হলো হাইড্রোনেপ্রোসিস। সাধারণত এই স্ফীতি শুধুমাত্র একটি কিডনিকে প্রভাবিত করে, কিন্তু উভয়টিই আক্রান্ত হতে পারে। হাইড্রোনেফ্রোসিসকে (Hydronephrosis) সরাসরি রোগ না বলে একটা Structural Condition বলা যেতে পারে। এটা প্রস্রাবের নালীর মধ্যে একটি প্রতিবন্ধকতার ফলাফল।
![]() |
Hydronephrosis, Causes, Symptoms, Diagnosis, Complication and Homeopathy treatment |
কিডনির সাথে মূত্রথলির সংযোগকারী নালী রয়েছে যাকে ইউরেটার বা মূত্রনালী বলে। অনেকে আবার এটাকে সরাসরি কিডনি নালীও বলে থাকেন। এই নালী ২৫ সেমি-এর মতো লম্বা। এর তিনটি জায়গায় একটু চাপা রয়েছে। প্রথমটি হলো কিডনির পেলভিসের সাথে ইউরেটারের সংযোগ স্থান, দ্বিতীয়টা যখন পেলভিক সেতু পার করে এবং তৃতীয়টা যখন মূত্রনালী প্রস্রাবের থলিতে প্রবেশ করে। কোনো কারণে যদি কিডনি নালী সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যায় তখন এর ফলে কিডনির ভিতরে প্রস্রাব জমা হয়ে কিডনি আকারে বড়/স্ফীত হয়ে যায় যাকে বলা হয় হাইড্রোনেফ্রোসিস।
হাইড্রোনেফ্রোসিসের কারণ :-
বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন -
* পেল্ভি-ইউটেরিক সংযোগ স্থানে প্রতিবন্ধকতা
* কিডনিতে পাথর হলে
* কিডনিতে সিস্ট বা টিউমার হলে
* নেফ্রনে ময়লা জমে প্রতিবন্ধকতা (Obstruction) সৃষ্টি হয়
* জন্মগত ভাবে বা আঘাত জনিত কারণে মূত্রনালী এর সংকীর্ণতা
হাইড্রোনেফ্রোসিসের লক্ষণ :-
উল্লেখযোগ্য লক্ষণগুলি হলো :-
* বমি বমি ভাব এবং বমি
* পেট বা পার্শ্ব ব্যথা
* প্রস্রাব করার সময় ব্যথা / জ্বালাপোড়া
* ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ
* বেগ পাওয়ার সাথে সাথেই প্রস্রাব করতে হয়
* জ্বর জ্বর ভাব
![]() |
Hydronephrosis, Causes, Symptoms, Diagnosis, Complication and Homeopathy treatment |
রোগ নির্ণয়ঃ
হাইড্রোনেফ্রসিস ইমেজিং পরীক্ষায় পাওয়া যায়ঃ
* পেটের এমআরআই (Abdominal MRI)
* পেটের বা কিডনীর সিটি স্ক্যান
* ইন্ট্রাভেনাস পায়েলোগ্রাম (IVP)
* আইসোটোপ রেনোগ্রাফি (কিডনী স্ক্যান)
* কিডনী বা পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম
সম্ভাব্য জটিলতাঃ
হাইড্রোনেফ্রোসিস সঠিক ভাবে চিকিৎসা না করা হলে, কিডনি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা নষ্ট হতে পারে। অন্য কিডনি সাধারণত স্বাভাবিকভাবে কাজ করলে, কিডনি ফেইলোর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। যাই হোক, রোগীর শুধুমাত্র একটি কিডনি কার্যকরী থাকলে, একসমসয় অন্য কিডনি ফেইলোর ঘটবেই।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ
কারণের উপর ভিত্তি করেই এটার চিকিৎসা নির্ভর করবে। হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি, তাই সম্পূর্ণ লক্ষণ সংগ্রহ করে সঠিক ওষুধ প্রয়োগ করে হাইড্রোনেফ্রসিস বা স্ফিত কিডনি আরোগ্য করা সম্ভব। নিম্নে হাইড্রোনেফ্রসিস চিকিৎসা সহায়ক কয়েকটি হোমিওপ্যাথিক ওষুধের নাম উল্লেখ করা হলোঃ
এপিস মেল, আর্সেনিক এল্ব, বার্বারিস ভুল, ক্যান্থারিস, ক্যাল্কেরিয়া কার্ব, হেলেবুরাস, ক্যালি মিউর, থুজা, টেরিবিন্থ, ভেসিকেরিয়া, মার্ক কর, হাইড্রাঞ্জিয়, পেরেইরা ভ্রাবা, সেরাম ইগুইলি(Eel Serum), জিঞ্জিবার অফিসিনালিস এবং আরোও অন্যান্য কিছু হোমিওপ্যাথিক ওষধ।
Post a Comment
Post a Comment