হাড়ের ভঙ্গুরতা রোধে করণীয়। মহিলারা কেবল কারো মা কিংবা স্ত্রী নন। বর্তমানে এ পরিচয়ের বাইরেও তারা অনেক কাজের সাথে জড়িত।
হাড়ের ভঙ্গুরতা রোধে করণীয়।
হাড়ের ভঙ্গুরতা রোধে করণীয়ঃমহিলারা কেবল কারো মা কিংবা স্ত্রী নন । বর্তমানে এ পরিচয়ের বাইরেও তারা অনেক কাজের সাথে জড়িত । অনেক ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়েও বেশি কাজ করতে হয় তাদের । সময়মত অফিসে যাওয়া, আবার বাড়ি ফিরে গৃহস্থালি কাজকর্মে নিয়োজিত থাকা বিরাট শারীরিক ও মানসিক ধকল ।
এর সবই করতে হয় তাদের, আর এ জন্য প্রয়োজন প্রচুর শারীরিক ও মানসিক শক্তি । মহিলাদের একটা বিশেষ ঝুঁকি থাকে অস্টিওপরোসিস বা হাড়ের ভঙ্গুরতা রোগে আক্রান্ত হওয়া । অস্টিওপরোসিসে ভুগলে সব কাজই থেমে যায় ।
তাই সব মহিলারই উচিত সময়মত এ সমস্যাকে প্রতিরোধ করা । আজ থেকে অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করতে শুরু করুন এবং আপনার বান্ধবীদেরও বলুন সেগুলো অনুসরণ করতে । অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করতে পারলে হাড়ের ঘনত্ব বাড়বে, চলমান জীবনও সুন্দর হবে ।
কন্যাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যানঃ
মাঝে মাঝে কন্যাকে নিয়ে আপনি নিজেও চিকিৎসকের কাছে যাবেন। চিকিৎসক আপনার পারিবারিক ইতিহাস জেনে অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে কিছু ব্যবস্থাপত্র দিবেন।
ডাঃ মিজানুর রহমান কল্লোল
হাড়-জোড়া রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
![]() |
হাড়ের ভঙ্গুরতা রোধে করণীয়। |
ব্যায়াম করুনঃ
গবেষণায় দেখা গেছে, ভারোত্তোলন ব্যায়াম হাড়ের বৃদ্ধিতে উদ্দীপনা জোগায় । সুতরাং আজ থেকেই ভারোত্তলন শুরু করুন । বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে তিনবার ২০-৩০ মিনিট ব্যায়াম করলেই যথেষ্ট । আর যদি আপনি আরো বেশি করতে পারেন, তাহলে আরো ভালো । ভারোত্তলন ছাড়া হাঁটা, দৌড়ানো কিংবা সিঁড়ি দিয়ে উঠা খুবই চমৎকার ব্যায়াম।হাড় গঠনকারী উপাদান গ্রহন করুনঃ
এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ক্যালসিয়াম গ্রহন করতে হবে । চেষ্টা করবেন দৈনিক ১০০০ - ১৫০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহন করতে । আপনার বান্ধবীদেরও বলবেন । দুগ্ধজাত পণ্য ক্যালসিয়ামের চমৎকার উৎস ।চর্বি নিয়ে শঙ্কিত হবেন নাঃ
দুগ্ধজাত খাবারে চর্বি থাকে বলে সেগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন না । বাস্তবিকই দুগ্ধজাত খাবারে যাতে স্বল্প চর্বির হয়, সেভাবে তৈরি করুন । দুধ, দই, পনির প্রভৃতি খাবার স্বল্প চর্বি এবং চর্বিহীন দু'ভাবেই তৈরী করতে পারেন । দুধের চর্বি বাদ দিয়ে আসল পুষ্টি গ্রহণ করুন ।কন্যাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যানঃ
মাঝে মাঝে কন্যাকে নিয়ে আপনি নিজেও চিকিৎসকের কাছে যাবেন। চিকিৎসক আপনার পারিবারিক ইতিহাস জেনে অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে কিছু ব্যবস্থাপত্র দিবেন।
ভিটামিন 'কে' গ্রহন করুনঃ
এই ভিটামিন হাড় গঠনকারী অস্টিওক্যালাসিন নামক প্রোটিনকে ত্বরান্বিত করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, হাড়ের জন্য ভালো ব্যবস্থা হলো দৈনিক ১০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন 'কে' গ্রহণ করা। ভিটামিন 'কে' এর চমৎকার উৎস হলো স্পিনিজ, ব্রকলি, বাঁধাকপি, এসপ্যারাগাস, এবং বিভিন্ন সবুজ শাকসবজি।ধূমপান বন্ধ করুনঃ
আপনার যদি ধূমপানের অভ্যাস থাকে এখনই ছেড়ে দিন। এই বাজে অভ্যাস অস্টিওপরোসিস বা হাড়ের ভঙ্গুরতা ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। গবেষকদের ধারণা ধূমপান ইস্ট্রোজেনের বিপাকক্রিয়াকে বৃদ্ধি করে, যার ফলে হাড়ের বৃদ্ধির উদ্দীপনা কমে যায়।ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করুনঃ
এই খনিজ সত্যিকার অর্থে আপনার হাড়ের ওপরের অংশ তৈরী করে। আপনাকে প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করতে হবে। ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস হলো বাদাম, শুকনা শিম, স্পিনিজ, গমের ভ্রণ, গমের ভুসি প্রভৃতি।প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্ট খানঃ
ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের মাধ্যমে আপনি আপনার ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়াতে পারেন। তবে একবারে ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি গ্রহণ করবেন না। তবে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করবেন।ডাঃ মিজানুর রহমান কল্লোল
হাড়-জোড়া রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
COMMENTS