অকাল গর্ভপাত বা মিসক্যারেজ ঠেকাতে জরুরী উপায়গুলো। অকাল গর্ভপাত বা মিসক্যারেজ হলো কোন কারণে গর্ভে থাকা ভ্রুণের অকাল মৃত্যু। এটি নানা কারণে হতে পারে।
অকাল গর্ভপাত বা মিসক্যারেজ ঠেকাতে জরুরী উপায়গুলো।
অকাল গর্ভপাত বা মিসক্যারেজ হলো কোন কারণে গর্ভে থাকা ভ্রুণের অকাল মৃত্যু। এটি নানা কারণে হতে পারে। অকাল গর্ভপাত ঠেকাবার মত কার্যকরী ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয় নি। তাই একে ঠেকাতে অবলম্বন করতে হবে কিছু সাবধানতা।
এই সাবধানতায় যেমন গর্ভপাত থেকে দূরে থাকবেন আপনি, তেমনি এড়াতে পারবেন ভ্রুণের অন্যান্য আরো নানা জটিলতাও। আসুন জানি গর্ভপাত প্রতিরোধের উপায়গুলো, যা গর্ভধারণের আগে ও পরে অবলম্বন করতে হবে।
স্বামী-স্ত্রী দুজনেই এস টি ডি টেস্ট করে নিন। এতে আপনাদের মধ্যে কেউ কোন যৌন রোগে আক্রান্ত কিনা তা জানা যাবে ও সে অনুসারে চিকিৎসা নেয়া যাবে। গর্ভপাত ঠেকাতে এটি জরুরী।
• আপনার ভ্যাক্সিনেশন বা টিকার ইতিহাস জেনে নিন
আপনার মা বাবার কাছ থেকে জেনে নিন আপনাকে কোন কোন টিকা দেয়া হয়েছিল ও হয়নি। তারপর ডাক্তারের সাথে কথা বলে জেনে নিন কোন কোন টিকা নেয়া প্রয়োজন। সন্তান ধারনের আগেই টিকাগুলো নিয়ে ফেলুন।
• ক্রণিক রোগ বাড়াতে পারে গর্ভপাতের ঝুঁকি
বিভিন্ন ধরনের ক্রনিক রোগ যেমন থাইরয়েডের সমস্যা, থ্যালাসেমিয়া, মৃগীরোগ এগুলো নিয়ন্ত্রণে না থাকলে গর্ভপাত ঘটায় ভূমিকা রাখে। তাই ডাক্তারের কাছে বংশগত কোন রোগের কথা লুকোবেন না।
গর্ভধারনের প্ল্যান করার ১/২ সপ্তাহ আগ থেকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রতিদিন ৬০০ মিগ্রা ফলিক এসিড গ্রহন করুন। এতে সন্তানের জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মাবার ঝুঁকি কমবে।
• চা কফি দু কাপের বেশী নয়
চা কফিতে থাকা ক্যাফেইন অতিরিক্ত গ্রহনের ফলে আপনার হরমোনের লেভেলকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। তার গর্ভধারনের আগেই এটি গ্রহণ কমিয়ে ফেলুন।
• এক্স রে বা বারবার আল্ট্রাসনোগ্রাম করা থেকে বিরত থাকুন। এর ক্ষতিকর রশ্মি ভ্রুণের অকাল গর্ভপাতের জন্যে দায়ী হতে পারে।
• প্রচন্ড মানসিক চাপের কারণেও হতে পারে গর্ভপাত। তাই সব সময়ে এক জন সাইকিয়াট্রিস্টের সাথে যোগাযোগ রাখুন।
• আপনার দুশ্চিন্তার প্রভাব পড়ে আপনার গর্ভস্থ সন্তানের উপরেও তাই চেষ্টা করুণ পরিবার ও বন্ধু বান্ধবের সাথে মিলে মিশে ইতিবাচক চিন্তা করার ও হাসিখুশী থাকার।
• কমপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করুন। ভ্রূণের স্বাস্থ্য রক্ষায় পানির বিকল্প নেই।
• আঁশযুক্ত খাবার খাবার চেষ্টা করুন। এগুলো আপনার হজমশক্তি বাড়াবে।
• কোল্ড ড্রিঙ্কসকে না বলুন। এমনকি চা কফিকেও।
• ধূমপায়ীদের কাছ থেকে দূরে থাকুন। পরোক্ষ ধূমপানও আপনার ভ্রূণেরঅকাল মৃত্যুর জন্যে দায়ী হতে পারে।
আপনার আদরের সোনামনি বেড়ে উঠুক নিশ্চিন্তে আপনারই শরীরের নিরাপদ আশ্রয়ে। সুস্থ থাকুন।
সূত্র- তাজাখবর.কম
![]() |
অকাল গর্ভপাত বা মিসক্যারেজ ঠেকাতে জরুরী উপায়গুলো। |
১। গর্ভধারণের আগেঃ
• এস টি ডি পরীক্ষা করুনস্বামী-স্ত্রী দুজনেই এস টি ডি টেস্ট করে নিন। এতে আপনাদের মধ্যে কেউ কোন যৌন রোগে আক্রান্ত কিনা তা জানা যাবে ও সে অনুসারে চিকিৎসা নেয়া যাবে। গর্ভপাত ঠেকাতে এটি জরুরী।
• আপনার ভ্যাক্সিনেশন বা টিকার ইতিহাস জেনে নিন
আপনার মা বাবার কাছ থেকে জেনে নিন আপনাকে কোন কোন টিকা দেয়া হয়েছিল ও হয়নি। তারপর ডাক্তারের সাথে কথা বলে জেনে নিন কোন কোন টিকা নেয়া প্রয়োজন। সন্তান ধারনের আগেই টিকাগুলো নিয়ে ফেলুন।
• ক্রণিক রোগ বাড়াতে পারে গর্ভপাতের ঝুঁকি
বিভিন্ন ধরনের ক্রনিক রোগ যেমন থাইরয়েডের সমস্যা, থ্যালাসেমিয়া, মৃগীরোগ এগুলো নিয়ন্ত্রণে না থাকলে গর্ভপাত ঘটায় ভূমিকা রাখে। তাই ডাক্তারের কাছে বংশগত কোন রোগের কথা লুকোবেন না।
অকাল গর্ভপাত বা মিসক্যারেজ ঠেকাতে জরুরী উপায়গুলো।
• ৬০০ মিলিগ্রাম ফলিক এসিড প্রতিদিনগর্ভধারনের প্ল্যান করার ১/২ সপ্তাহ আগ থেকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রতিদিন ৬০০ মিগ্রা ফলিক এসিড গ্রহন করুন। এতে সন্তানের জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মাবার ঝুঁকি কমবে।
• চা কফি দু কাপের বেশী নয়
চা কফিতে থাকা ক্যাফেইন অতিরিক্ত গ্রহনের ফলে আপনার হরমোনের লেভেলকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। তার গর্ভধারনের আগেই এটি গ্রহণ কমিয়ে ফেলুন।
২। গর্ভধারণের পর যা করবেনঃ
• হালকা ব্যায়াম করুন প্রতিদিন। ভারী ব্যায়াম আপনার শরীরকে উত্তপ্ত করে ও ভ্রুনের দেহে রক্ত সঞ্চালনে বাধা দেয়।• এক্স রে বা বারবার আল্ট্রাসনোগ্রাম করা থেকে বিরত থাকুন। এর ক্ষতিকর রশ্মি ভ্রুণের অকাল গর্ভপাতের জন্যে দায়ী হতে পারে।
• প্রচন্ড মানসিক চাপের কারণেও হতে পারে গর্ভপাত। তাই সব সময়ে এক জন সাইকিয়াট্রিস্টের সাথে যোগাযোগ রাখুন।
• আপনার দুশ্চিন্তার প্রভাব পড়ে আপনার গর্ভস্থ সন্তানের উপরেও তাই চেষ্টা করুণ পরিবার ও বন্ধু বান্ধবের সাথে মিলে মিশে ইতিবাচক চিন্তা করার ও হাসিখুশী থাকার।
৩। বিশেষ ডায়েট অনুসরন করুনঃ
• বেশি করে মাছ খান। মাছে থাকা ফলিক এসিড আপনার ভ্রুণের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।• কমপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করুন। ভ্রূণের স্বাস্থ্য রক্ষায় পানির বিকল্প নেই।
• আঁশযুক্ত খাবার খাবার চেষ্টা করুন। এগুলো আপনার হজমশক্তি বাড়াবে।
• কোল্ড ড্রিঙ্কসকে না বলুন। এমনকি চা কফিকেও।
• ধূমপায়ীদের কাছ থেকে দূরে থাকুন। পরোক্ষ ধূমপানও আপনার ভ্রূণেরঅকাল মৃত্যুর জন্যে দায়ী হতে পারে।
অকাল গর্ভপাত বা মিসক্যারেজ ঠেকাতে জরুরী উপায়গুলো।
এছাড়াও পেটের উপর চাপ পড়ে এমন কোন কাজ করবেন না বা খুব ঝাঁকুনি লাগে এমন কোন ভ্রমণ বেছে নেবেন না। অতিরিক্ত স্ট্রেস ও দুশ্চিন্তা থেকে শত হস্ত দূরে থাকুন। ভাঁড়ে একাজ হতে দূরে থাকুন, পর্যাপ্ত ঘুমান। রাগ বা চিৎকার চেঁচামেচি করবেন না। মুরুব্বি ও গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন। কেননা তারা যা বলছেন এগুলো অভিজ্ঞতার আলোকেই।আপনার আদরের সোনামনি বেড়ে উঠুক নিশ্চিন্তে আপনারই শরীরের নিরাপদ আশ্রয়ে। সুস্থ থাকুন।
সূত্র- তাজাখবর.কম
COMMENTS