আমলকীর ভেষজগুণ। আমলকীতে পর্যাপ্ত পরিমান এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান অর্থাৎ প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি আছে। বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও রোগ প্রতিরোধক করে।
আমলকীর ভেষজগুণ বা উপকারিতা।
আমলকির পুষ্টিরমানঃ
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, প্রতিদিন আমলা খাওয়ার প্রস্তাবিত পরিমাণ হল প্রতিদিন ৭৫ - ৯০ মিলিগ্রাম।
আমলকির পুষ্টিগুণঃ
প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকিতে রয়েছে -
- শক্তি ৫৮ কিলো ক্যালোরি
- ফাইবার ৩.৪%
- প্রোটিন ০.৫%
- চর্বি ০.১%
- কার্বোহাইড্রেট ১৩.৭ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম ৫০%
- আয়রন ১.২ মিলিগ্রাম
- ক্যারোটিন ৯ মাইক্রোগ্রাম
- থায়ামিন ০.০৩ মিলিগ্রাম
- রিবোফ্লাভিন ০.০১ মিলিগ্রাম
- নিসিন ০.২ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন ৬০০ মিলিগ্রাম
আপনি যদি ইতিমধ্যে আশ্বস্ত না হন, তাহলে আমলার স্বাস্থ্য উপকারিতার নিম্নোক্ত দীর্ঘ তালিকাটি পড়ুন এবং আপনি জানতে পারবেন কেন আপনার প্রতিদিন এই টক খাবার খাওয়া উচিত। প্রতিদিন আমাদের নিয়ম করে হালকা টক বা সাইট্রাস ফল না খেলে, আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসহ খাওয়ার রুচি বাড়বে না। তাই অবশ্যই আমাদের খাবারের সাথে নিয়মিত টক ফল খাওয়া বিশেষ প্রয়োজন।
আমলকীর উপকারিতাঃ
আমলকীতে পর্যাপ্ত পরিমানে এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান অর্থাৎ প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি আছে । বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতেও আমলকী দারুণ সাহায্য করে। আমলকীর গুণাগুণের জন্য হোমিওপ্যাথিতে আমলকীর নির্যাস ব্যবহার করা হয় যা হোমিওপ্যাথিক মাদার টিংচার নামে পরিচিত।আমলকীর ভেষজগুণ। |
আমলকীর ভেষজগুণ বা উপকারিতাঃ
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকীতে যথেষ্ট পরিমাণে এ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ফ্রি-রেডিক্যাল প্রতিরোধ করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি-রেডিক্যাল।
- আমলকী ত্বক, চুল ও চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- পাকস্থলিতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl ) ভারসাম্য বজার রাখে।
- আমলকী লিভার ভাল রাখে, ব্রেনের কার্যকলাপে সাহায্য করে ফলে মেন্টাল ফাংশনিং ভাল হয়।
- রক্তে চিনির বা ব্লাডসুগারের পরিমান ঠিক রেখে বহুমূত্র প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
আমলকীর আরোও কিছু ভেষজগুণ বা উপকারিতাঃ
- কোলেস্টেরল স্বাভাবিক রাখাতে সাহায্য করে।
- হার্ট সুস্থ রাখে, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে তোলে।
- শরীর ঠাণ্ডা রাখে, কার্যক্ষমতা বাড়ায়, পেশি মজবুত করে।
- লোহিত রক্তকণিকা (RBC) সংখ্যা বাড়ায় এবং দাঁত ও নখ ভাল রাখে।
- জ্বর, বদহজম, সানবার্ন, সানস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।
- এটি দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ছানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- ত্বকের অন্যান্য সমস্যাসহ ব্রনে সমস্যায় বিশেষ উপকারী।
- পেটের জ্বালা জ্বালাভাব কম রাখে।
- অর্শ রোগে সাহায্য করে।
- অর্শ রোগে সহায়তা করে।
- শরীরের ফ্যাট বা চর্বি কমাতে সাহায্য করে। ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারী।
- হজমে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাতে খাদ্য চাহিদা বাড়ে।
COMMENTS