2
উচ্চ রক্তচাপঃ
হাইপারটেনশন বলতে উচ্চ রক্তচাপকে বুঝায়।
হৃদপিন্ড(heart) সারা দেহে রক্ত সঞ্চালনের সময় ধমনীর(arteries) দেয়ালে রক্তের যে চাপ প্রয়োগ হয় তাই রক্তচাপ।

রক্তচাপকে সাধারণত দুইটি সংখ্যা দ্বারা পরিমাপ করা হয় - ১২০ এবং ৮০  (১২০/৮০ mmHg লেখা হয়) ।
এই সংখ্যা এক বা উভয়ই খুব উচ্চ হতে পারে।

Hypertension Cure
 Hypertension Cure


শীর্ষ সংখ্যা(এখানে ১২০) কে সিস্টোলিক রক্তচাপ বলা হয়, এবং নীচের সংখ্যা (এখানে ৮০) কে ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ বলা হয়।

*আপনার রক্তচাপ ১২০/৮০ mmHg বা অধিকাংশ সময় এর একটু কম হলে স্বাভাবিক রক্তচাপ ধরা হয়।
*আপনার রক্তচাপ ১৪০/৯০ mmHg বা অধিকাংশ সময় এর উপরে হলে উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) ধরা হয়।
*আপনার রক্তচাপ ১২০/৮০ mmHg বা এর বেশি, কিন্তু ১৪০/৯০ mmHg এর নিচে হলে, একে প্রাক বা প্রাইমারি উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়।
* আপনার রক্তচাপ ১৪০/৯০ mmHg বা এর বেশি থাকলে একে সেকন্ডারি বা উচ্চ রক্তচাপ বলে।
আপনার প্রাক উচ্চ রক্তচাপ থাকলে উচ্চ রক্তচাপে বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

আপনার হৃদপিন্ড বা কিডনি সমস্যা থাকলে অথবা একটি স্ট্রোকের ইতিহাস থাকলে, আপনার ডাক্তার অবশ্যই আপনাকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনের পরামর্শ দিবেন।

কারণঃ
* তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী  গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস
* এথেরোস্ক্লেরোসিস
* ক্রনিক রেনাল ফেইলিউর
* রক্তনালিকায় এম্বলাস
* ফাইব্রো মাসকোলার ডিস্পক্লাসিয়া
* পলি-আর্থ্রাইটিস নডোসা
* পায়েলোনেফ্রাইটিস
* পলিসিস্টিক রোগ
* উইলমস টিউমার
* ডায়াবেটিস মেলিটাস
* রেনাল আর্টারি সংকুচিত
* কসিংস সিন্ড্রোম
* এয়র্টার কোয়ার্কটেশন
* স্টেরয়েড এবং জন্মবিরতিকরণ পিলের অত্যধিক ব্যবহার।
* গর্ভাবস্থায় টক্সিমিয়া
* সীসার বিষক্রিয়া
* ইন্ট্রাক্রেনিয়াল চাপ বৃদ্ধি

লক্ষণঃ
* মাথা ব্যথা
* মাথা ঘোরা
* ঝাপসা দৃষ্টি
* নাক দিয়ে রক্ত আসা
* উদ্বেগ
* বমি বমি ভাব
* বমি
* লালাভ মুখ এবং ত্বক
* ফোলা বৃদ্ধি
* দ্বিত্ব দৃষ্টি
* উত্তাপ প্রবাহ
* স্বাস কষ্ট
* হৃদস্পন্দন বেড়ে জাবে
* শরীরে কম্পন
* ক্লান্তি
* চটকা
* বিরক্ত

জটিলতাঃ
* হার্ট ফেইলিউর 
* এনজাইনা পেকটোরিস
* সেরেব্রুভাস্কুলার দুর্ঘটনা - সেরিব্রাল রক্তক্ষরণ, রক্তনালীতে রক্ত ​​জমাট বাঁধা বা সাব-এরাকনয়েড রক্তক্ষরণ।
* হাইপারটেনসিভ এন্সেফালোপ্যাথি
* ম্যালিগন্যান্ট উচ্চ রক্তচাপ 
* রেনাল ক্ষতি
* রক্তক্ষরণ - নাক দিয়ে রক্ত আসে এবং খুব কমই বমির বা কাশির সাথে রক্ত আসতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
হোমিওপ্যাথি রোগ নিরাময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র ও সদৃশ উপসর্গের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা হয়। এটি উপসর্গ ও জটিলতা মুছে ফেলে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য অবস্থায় রোগীর ফিরে যাবার একমাত্র উপায়। সদৃশবিধানের লক্ষ্য শুধু উচ্চ রক্তচাপ চিকিৎসাই নয়, এর অন্তর্নিহিত ( Internal ) কারণ ও স্বতন্ত্র প্রবণতা মোকাবেলায়ও সহায়তা করে। স্বতন্ত্র ঔষধ নির্বাচন এবং চিকিত্সার জন্য, রোগীকে অবশ্যই একজন যোগ্যতাসম্পন্ন ও রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
উচ্চ রক্তচাপের চিকিত্সার সহায়ক ঔষধগুলো নিম্নরুপঃ
একোনাইট, আর্সেনিক এল্ব, এলিয়াম সেপা, অরাম মেট, এড্রেনালিন, আর্জেন্টাম নাইট, বেলেডোনা, ব্যারাইটা মিউর, কার্বো এনিমিলিস, ক্যাল্কেরিয়া কার্ব, গ্লোনইন, নাক্স ভমিকা, ন্যাট্রাম মিউর, প্লাম্বাম মেট, স্যাঙ্গুইনেরিয়া নাইট, থুজা, ভিরেট্রাম এল্ব ইত্যাদি। 

Post a Comment

Unknown said... January 10, 2016 at 8:44 AM

জনাব
আসসালামু আলাইকুম। আমিও একজন হোমিও চিকিৎসক। আমার স্ত্রীর একটি জটিল সমস্যায় ভুগছেন। যা নিম্নরুপ প্রতি মাসিকের আগে,সময়ে তী্ব্র মাথা ব্যথায় ভোগেন। প্রেসার মাপলে বেশী পাওয়া যায়। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন অসুখে ভোগেন। ঔষধ দিলে ভাল হয়ে যায়। কিন্তু এই মাথা ব্যখা আর ভাল করা যাচ্ছে না। এল সমাধান কল্পে করনীয় কি ?জানালে কৃতার্থ হবো।
মোঃ রফিকুল ইসলাম
01914998339
01714680462

 
Top