শিশু খাদ্য কেমন হওয়া উচিত। পরিমানমত পুষ্টিমান সমৃদ্ধ খাবারই বাচ্চার স্বাস্থ্য রক্ষা করে। বাচ্চার খাবার খাওয়ানো নিয়ে এখন সব মা-বাবাই কমবেশি চিন্তিত।
শিশু খাদ্য কেমন হওয়া উচিত।
শিশু খাদ্য কেমন হওয়া উচিত ( Child Food ):
পরিমানমত পুষ্টিমান সমৃদ্ধ খাবারই বাচ্চার স্বাস্থ্য রক্ষা করে। বাচ্চাদের খাবার খাওয়ানো নিয়ে এখন সব মা-বাবাই কমবেশি চিন্তিত। অনেক বাবা-মা মনে করেন বাচ্চাকে বেশি বেশি খাবার খাওয়ালেই তাদের বাচ্চা সুস্থ থাকবে।
আসলে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য নির্ভর করে খাবারের পুষ্টিমানের উপর, খাবারের পরিমানের উপর নয়। কোন খাবার কোন বয়সে খাওয়াবেন অথবা কোন খাবারে কতটুকু পুষ্টিমান আছে, তা আপনার চিকিৎসকের কাছে থেকে জেনে নিন।
![]() |
শিশু খাদ্য কেমন হওয়া উচিত। |
শিশুর বয়স অনুসারে খাবার তালিকাঃ
১মাস থেকে ৬মাস পর্যন্ত (1 Month to 6 Month):
এই সময়ে একটি নবজাতক বাচ্চাকে শুধু মায়ের বুকের দুধ দেয়াই উত্তম। প্রথম ৬ মাস ( First six month ) কোন বিকল্প খাবার বা কৌটার দুধ না খাওয়ানোই ভাল। মনে রাখবেন মায়ের দুধের বিকল্প, সমকক্ষ অথবা শ্রেষ্ঠ বলে কিছুই নেই।৬মাস থেকে ১বছর (6 Month to 1 Year):
এই সময়ে প্রথম প্রথম বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার হিসেবে প্রথমে চালের গুড়া ডাক্তারের পরামর্শমতে কোন ভাল কোম্পানীর দুধের সঙ্গে মিলিয়ে খাওয়াতে হবে। প্রথম ২থেকে ৩দিন ডাল ছাড়া শুধু চালের খিচুড়ী খাওয়ানো ভালো, কারণ প্রথমেই ডাল দিলে তা বাচ্চাদের অনেক সময় হজমের সমস্যা হতে পারে।তাই ২থেকে ৩দিন পর একেবারেই সামান্য পরিমান ডাল খিচুড়ীর সঙ্গে দিতে হবে। তারপর আলু ও মাংস এবং কিছুদিন পর দিবেন গাঁজর ও কাঁচা কলা এবং আরও কিছুদিন পর বাজারে যে মৌসুমী সব্জি পাওয়া যায় সেগুলো একটু একটু করে দিবেন। বাচ্চাদের ৬মাস পর থেকেই একটু একটু করে কলা খাওয়ানোর অভ্যাস করানোর চেষ্টা করুন।
ডিমঃ
ডিম প্রথম ৬মাস থেকে না দিয়ে আপনার বাচ্চার হজম শক্তির প্রতি খেয়াল রেখে ৮থেকে ১০মাস পরে দেওয়ার চেষ্টা করুন। প্রথমে শুধু ডিমের কুসুমটি শুধু পোচ করে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।
বাচ্চাকে দুপুর ১২টার দিকে একটি কমলা শুধু রস করে ২ভাগ পানি ও ১ভাগ কমলার রস জুস হিসেবে খাওয়াতে পারেন। তবে স্বাদ বাড়ানোর জন্য এতে একটু চিনির মিশ্রন দিয়ে দিতে পারেন। এ সময় বাচ্চাকে বিকেল বেলা স্যারিলাক জাতীয় কোন খাবার নাশতা হিসেবে দিতে পারেন।
১থেকে ৪বছর (1 Year to 4 Year)
এক-দেড় বছর পর থেকে খিচুড়ীর পাশাপাশি আপনি একটু একটু করে আপনার বাচ্চাকে তরকারি দিয়ে ভাত খাওয়ানোর চেষ্টা করতে পারেন। সকাল বেলা পাউরুটির চেয়ে হাতে বানানো রুটি খাওয়ানোই উত্তম। দুধে ভিজিয়ে এই রুটি আপনি খাওয়াতে পারেন।তারপর দুপুর ১২টার দিকে একটি ডিম এবং ডিম খাওয়ার পর কলা খাওয়ানো ভালো। এতে ডিমটি হজম হতে সুবিধা হয়। ৪-৫বছর বয়সে শিশু যখন স্কুলে যেতে শুরু করে তখন অনেকেই টিফিন হিসেবে বাইরের খাবার দিয়ে থাকেন। কিন্তু এটা একেবারেই ঠিক নয়।
বাসায় টিফিন তৈরি করে দিলে বাচ্চার পেটের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। আসলে বাচ্চাকে দামি দামি খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা না করে স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিমান খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করাই উত্তম।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার- আপরাইট মেডিক্যাল এসোসিয়েশন ( UPRIGHT Medical Association, Gazipur )।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার- আপরাইট মেডিক্যাল এসোসিয়েশন ( UPRIGHT Medical Association, Gazipur )।
COMMENTS