প্রতিটি মেয়েরই বয়স বাড়ার সাথে সাথে দৈহিক হরমোন ( Estrogen & Progesterone ) পরিবর্তন হওয়ার মাধ্যমে একটি পর্যায় চলে আসে, যখন তাদের শারীরিক মানষিক দিকে ব্যাপক পরিবর্তন আসে সময়টি বয়ঃসন্ধি নামে পরিচিত। এই সময়ে স্ত্রী আর পুরুষের মধ্যে পার্থক্য স্পস্ট হয়ে উঠে। অর্থাৎ এসময় মেয়েরা পরিপূর্ণ মেয়েতে পরিণত হয়। এ সময়ে আরেকটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া শুরু হয় যা প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত চলতে পারে, তাহলো মাসিক বা ঋতুস্রাব বা ঋতু (Menstruation)। মাসিক চলে অবস্থায় কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে সুস্থ্য থাকা যায়। অনেক সময় সামান্য সচেতনতার অভাবে অনেক মেয়েই বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে। একটু সচেতন হলেই সুস্থ্য থাকা যায়, তাই আপনি নিজে এবং অন্যকেও সহায়তা করুন সুস্থ্য থাকতে।
![]() |
Menstrual period |
মাসিককালীন অসুস্থতা বোধঃ
অনেক মেয়েরই মাসিকের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই সময় নিচে উল্লেখিত সমস্যা গুলি দেখা দেয়ঃ
* শরীর ম্যাজ ম্যাজ করে।
* জ্বর জ্বর ভাব। এমনকি অনেকের মৃদু জ্বরও হতে পারে।
* কারো মাথা ব্যথা, মাথাধরা, মাথাঘোরা, গা বমি বমি, ক্ষুধা কমে যাওয়া সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকতে পারে।
* অনেকের রক্তের চাপ বৃদ্ধি পায়। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
* কখনও কখনও নার্ভের গন্ডগোল হয়।
* দেহ অবসন্ন মনে হয়।
* তলপেটে ব্যথা বোধ হয়। বেশি ব্যথা হলে অবশ্যই নিকটের একজন যোগ্যতাসম্পন্য ও রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
* পরিশেষে বলা যায়, মাসিকের স্রাব কমার সাথে সাথে উপরুল্লিখিত সব সমস্যা কমে যায়। সেটা হতে পারে ৩-৫ দিন।
কর্তব্য ও সতর্কতাঃ
* মাসিকের সময় অধিক শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম করা উচিত না।
* অতিরিক্ত রাত জেগে কাজ বা পড়াশোনা করা ঠিক না।
* বৃষ্টির পানিতে ভিজা বা বেপরোয়া লাফালাফি করা উচিত না।
* মাসিকের সময় সংক্রমনের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই অবশই পরিস্কার ন্যাকড়া বা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত।
* অবশই ন্যাকড়া জীবানুমুক্ত রাখতে হবে। প্রয়োজনে ফুটন্ত পানি দ্বারা ধুয়ে শুকাতে হবে।
* খুব বেশি সময় এক কাপড় যোনিমুখে রাখা স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
* মুত্রত্যাগের সময় অবশ্যই যৌনাঙ্গের চারপাশে ডেটল বা অন্য এন্টিসেপ্টক দ্বারা ধুতে হবে।
Post a Comment
Post a Comment