রসুনের ভেষজ গুণ। কোলেস্টেরলের সুবাদে রসুনের স্বাস্থ্য উপযোগিতা সম্পর্কে আমরা সবাই অবহিত। দেহের শারীরবৃতিয় কাজের উপর এটি কমবেশি ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
রসুনের ভেষজ গুণ
রসুনের ভেষজ গুণ ( Garlic or Allium Sativum ):
কোলেস্টেরলের সুবাদে রসুনের স্বাস্থ্য উপযোগিতা সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই অবহিত। সাম্প্রতক গবেষণাতে দেখা গেছে, কেবলমাত্র কোলেস্টেরল কমানো নয়, সামগ্রিক দেহ শারীরবৃতিয় কাজের উপর এটি কমবেশি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।
রসুনের বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে একটি হল তেল। এই তেলে পচাত্তর ধরনের সালফারযুক্ত যৌগ বিদ্যমান। সতেরো ধরনের এমাইনো এসিড আছে যা দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এজন্যই রসুনের ভেষজ গুণ আমাদের শরীরের জন্য অত্যান্ত দরকারী।
কোলেস্টেরলের সুবাদে রসুনের স্বাস্থ্য উপযোগিতা সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই অবহিত। সাম্প্রতক গবেষণাতে দেখা গেছে, কেবলমাত্র কোলেস্টেরল কমানো নয়, সামগ্রিক দেহ শারীরবৃতিয় কাজের উপর এটি কমবেশি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।
![]() |
রসুনের ভেষজ গুণ |
বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীর আলোকেঃ
হাজার হাজার বছর আগে হিপোক্রিটাস দেহ স্বাস্থ্য বিধানে রসুনের ভেষজ গুণ সম্পর্কে জানতেন। তিনি বলেছিলেন, রসুন সেবন জীবনের আয়ু বাড়িয়ে দিতে পারে। টিকা আবিস্কারক বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর ১৮৮৫ সালে সর্বপ্রথম আবিস্কার করেন, রসুনের নির্যাসে জীবাণূ প্রতিরোধক ক্ষমতা(Antiseptic) বিদ্যমান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে যুদ্ধাহত সৈনিকদের ক্ষত সংক্রমন প্রতিরোধে বৃটিশ বিজ্ঞানীরা রসুনের নির্যাস ব্যবহার করতেন। উল্লেখ্য যে, তখনও কোন প্রকার এন্টিবায়োটিক আবিস্কৃত হয়নি। রাশিয়ায় রসুনের ব্যাপক কার্যকারিতার জন্য রাশিয়ান পেনিসিলিন নামে পরিচিত ছিল। চীনা চিকিৎসকেরা উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য রসুন ব্যবহার করতেন।ক্যান্সারে রসুন (Garlic in Cancer):
রসুনের ভেষজ গুণ আমাদের দেহে ক্যান্সার তৈরীকারক বর্জ্য উপাদানগুলোকে বের করে দেয়। এ উপাদানগুলোর স্থিতি না ঘটলে কারসিনোজেনেসিস অনেক পরিমানে কমে যায়।এস্পিরিনের ভূমিকা হ্রাসেঃ
সারা বিশ্বজোড়ে স্ট্রোক আর হার্ট এটাকের ঝুকি কমাতে এস্পিরিন গ্রহন করা হচ্ছে। এস্পিরিন অনেকটা টিকার মত কাজ করে। এটি রক্তের সান্দ্রতা কমিয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন ঠিক এ কার্যটি করতে সক্ষম আর এর উৎকর্ষতা এস্পিরিনের দ্বিগুণ। এর কোনো অনাকাঙ্খিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।আরোও উপকারী দিকঃ
দৈহিক সুস্থতার কোনো বিকল্প নেই। কে-না সুস্থ থাকতে চায়। সুস্থতা বিধানে আপনিও রসুন সেবন করতে পারেন। রসুন সেবনে আপনি যা যা উপযোগিতা পেতে পারেনঃ- স্ট্রোক আর হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- রক্তের ক্ষতিকারক কলেস্টেরল(LLD) কমায়।
- উচ্চ রক্তচাপে বাড়তি চাপ কমায়।
- রক্তের সান্দ্রতা কমিয়ে স্বাভাবিক ধারা বজায় রাখে।
- রক্তের চর্বিমাত্রা কমায়।
- শ্বাসনালির বিভিন্ন রোগ যেমন- সাইনোসাইটিস, ব্রঙ্কাইটিস কমায়।
- বাত বা রিউম্যাটিক ব্যথা কমায়।
- এটি পরিপাক সহায়ক আর ক্ষিধে বাড়ায়।
- পাকস্থলিসহ নানান আন্ত্রিক সমস্যা কমায়।
- এমনকি এটি স্বরভঙ্গতা ও কাশির সমস্যা কমাতে পারে।
- রক্তের লিপিডমাত্রা কমাতে পারে।
- এটি মূত্রনালী সংক্রমণকারী ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়া বিনাশ করে।
রসুনের বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে একটি হল তেল। এই তেলে পচাত্তর ধরনের সালফারযুক্ত যৌগ বিদ্যমান। সতেরো ধরনের এমাইনো এসিড আছে যা দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এজন্যই রসুনের ভেষজ গুণ আমাদের শরীরের জন্য অত্যান্ত দরকারী।
COMMENTS