বৃস্টির দিনে অসুখ-বিসুখ এবং হোমিওপ্যাথি। বর্ষা মানেই সারা দিন বৃষ্টি, চার দিকে পানি, বন্যা ও জ্বলাবদ্ধতা। এ সময় হয় ডায়রিয়া, জ্বর, ডেঙ্গু, টাইফয়েড।
বৃস্টির দিনে অসুখ-বিসুখ এবং হোমিওপ্যাথি।
বৃস্টির দিনে অসুখ-বিসুখ এবং হোমিওপ্যাথি। |
জ্বরঃ
বৃষ্টি দিনের সবচেয়ে কঠিন অসুখ জ্বর। এমন দিনে শখ করে হোক আর বিপদে পড়ে হোক বৃষ্টিতে ভেজা হয়ে যায়। ফলে অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হন।কেন হয়ঃ
বৃষ্টিতে ভিঁজলে জ্বর আসার সবচেয়ে বড় কারণ ভেজা কাপড় গায়ে শুকিয়ে যাওয়া। সাধারণ বৃষ্টিতে ভেজার সঙ্গে সঙ্গে কাপড় পাল্টে ফেললে জ্বর আসে না। আবার মাথার চুল ভিজে যায় বলে ভেজার সঙ্গে সঙ্গে মুছে না ফেললে জ্বর আসতে পারে। বৃষ্টির পানিতে প্রতিদিন ভেজা হয় না বলে শরীর অভ্যস্ত থাকে না। তাই দেখা যায় হঠাৎ ভিজলে জ্বর আসে। এর কারণ প্রতিদিনের গোসলের পানির সঙ্গে এর ভিন্নতা। কেউ যদি প্রতিদিন ট্যাপের পানিতে গোসল করে হঠাৎ একদিন পুকুরের পানিতে গোসল করে তারও এ সমস্যা হতে পারে। তবে এই জ্বর সাধারন, মারাত্মক ধরনের কিছু না।লক্ষণঃ
- সাধারণ জ্বর, তাপমাত্রা ১০০ থেকে ১০২ ডিগ্রী ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে।
- জ্বরের সাথে সামান্য সর্দি থাকতে পারে।
- শরীর ব্যথাসহ অস্থিরতা থাকতে পারে।
প্রতিরোধঃ
- বৃস্টিতে শখ করে ভিজুন আর বাধ্য হয়েই যদি ভিজুন,সম্ভব অবশ্যই হলে শুকনো কাপড় দিয়ে দ্রুত মাথা মুছে ফেলুন। কাপড় পাল্টে শুকনো কাপড় পরে নিন।
- শখ করে ভিজলে অবশ্যই বাসায় ফিরে সাধারণ পানিতে গোসল করে বা গা ধুয়ে নিন। বেশিক্ষণ বৃস্টির পানিতে ভিজবেন না।
- ভেঁজা কাপড় অথবা ভেজা চুল এসি অথবা কোনো ঠান্ডা স্থানে দাঁড়িয়ে শুকাবেন না।
বৃস্টির দিনে অসুখ-বিসুখ এ জ্বরের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
বৃস্টির দিনে জ্বরের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সহায়ক ঔষধগুলো নিম্নরুপঃ
একোনাইট, জেলসেমিয়াম, চায়না, হিপার সালফ, মার্কিউরিয়াস, সালফার, বেলাডোনা, ব্রায়োনিয়া, রাসটক্স, ডালকামারা, ব্যাপ্টিসিয়া, সালফার, এন্টিম ক্রুড, ক্যামোমিলা, ফেরাম ফস, ন্যাট্রাম মিউর, নাক্সভম, পালসেটিলা, ইত্যাদি।
ডায়রিয়াঃ
সারা বছরই বাংলাদেশে ডায়রিয়া হয়, তবে বর্ষাকালে বেশি হয়। কখনো কখনো ডায়রিয়া প্রকট আকার ধারণ করে মহামারি রুপ নেয়। বর্ষা মৌসুমে অধিকাংশ এলাকায়ই বন্যা বা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দেয়। তাই মানুষ বিভিন্ন উৎস থেকে খাবার গ্রহণ করে। বেশির ভাগ সময়ই এসব পানি দুষিত থাকে। এখনো বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ ডায়রিয়া ও কলেরা। শুধু পাতলা পায়খানা থাকলে ডায়রিয়া আর পাতলা পায়খানার সঙ্গে বমি থাকলে কলেরা হিসেবে পরিচিত। বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ৫০ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ ডায়রিয়া।কেন হয়ঃ
ডায়রিয়ার মূল কারণ জীবাণু সংক্রমণ অর্থাৎ ভাইরাস, ফাঙ্গাসের আক্রমণ। এসব জীবাণু মূলত খাবার ও পানির মাধ্যমে মানুষের অন্ত্রে প্রবেশ করে ও সেখানে বংশবৃদ্ধি করে। এদের সংখা যখন বেশি হয়, তখন ডায়রিয়া রোগের সৃষ্টি হয়।লক্ষণঃ
- ঘন ঘন পাতলা পায়খানা।
- পায়খানার সাথে বমি থাকতে পারে।
- শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে নিস্তেজ হতে থাকে।
- অবশেষে পানিশূন্যতা দেখা দেয়।
প্রতিরোধঃ
- সব সময়ই বিশুদ্ধ পানি বা নলকুপের পানি পান করতে হবে। রান্না, ধোয়া ও হাত ধোয়ার পানি বিশুদ্ধ হতে হবে।
- মলত্যাগের পর ও খাবারের আগে অবশ্যই ভালোভাবে হাত ধুইতে হবে। সাবান দিয়ে ধুতে পারলে সবচেয়ে ভালো। তবে সাবান সহজলভ্য না হলে মাটি দিয়ে ধুলেও চলবে।
- ডায়রিয়া রোগীর মল মাটিতে পুঁতে ফেলতে পারলে রোগ কম ছড়াবে।
- খাদ্যসামগ্রী সব সময় ঢেঁকে রাখতে হবে, যাতে কোন মাছি বসতে না পারে।
- পচাঁ, বাসি খাদ্য খাওয়া যাবে না।
- শাকসব্জি ও ফল ভালোভাবে খাবার পানি দিয়ে ধোয়া উচিত।
- বন্যার সময় টিউবওয়েলের ( Tube well ) পানিও অনেক সময় নিরাপদ নয়। এ সময় টিউবওয়েলের পানিও বিশুদ্ধ করে পান করতে হবে।
চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাঃ
ডায়রিয়া রোগের প্রথম ও কার্যকরী চিকিৎসা হচ্ছে পানিশূন্যতা রোধ করা। শরীরে পর্যাপ্ত পানির জোগান দিতে পারলেই এটা সম্ভব। সঙ্গে পূরণ করতে হবে পায়খানার সাথে বের হয়ে যাওয়া খনিজ লবণের অভাবও।- বাড়িতে তৈরি ওরস্যালাইন বা খাবার স্যালাইন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পানিশূন্যতা রোধ করতে পারে। ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে এ চিকিৎসাটি কার্যকর। এক চিমটা লবণ, এক মুঠো গুড় বা চিনি এবং আধা লিটার পানি দিয়ে বাড়িতে তৈরি করা যায় একটি আদর্শ রিহাইড্রেশন দ্রবণ।
- ডাবের পানি, চাল ধোয়া পানি, চিঁড়া ধোয়া পানি, চা, সুপ, লবণ, গুড়ের দ্রবণ এসবই ডায়রিয়ার সৃষ্ট পানিশূন্যতা পূরণে সহায়তা করে।
- এসবের পাশাপাশি রোগীকে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। যদি ৩ দিনের মধ্যে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রিত না হয় বা ডায়রিয়ায় শরীর দ্রুত খারাপ হতে থাকে বা পাতলা পায়খানার সাথে বমি হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
বৃস্টির দিনে অসুখ-বিসুখ এ ডায়রিয়ার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
বৃস্টির দিনে ডায়রিয়ার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সহায়ক ঔষধগুলো নিম্নরুপঃ
ইপিকাক, এলো সকোট্রিনা, সাইলিসিয়া, নাক্স ভম, ক্যালকেরিয়া কার্ব, বেলাডোনা, আর্সেনিক এল্ব, ভিরেট্রাম এল্ব, সালফার, মার্ক সল, ব্রায়োনিয়া, পালসেটিলা, ন্যাট্রাম মিউর, ফসফরাস, সিনা, ক্যামোমিলা ইত্যাদি।
আমাশয়ঃ
বর্ষাকালে সুপেয় পানির অভাব এবং পায়খানা-প্রস্রাব অপসারণের অব্যবস্থাপনার কারণে আমাশয় রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। সাধারণত আমাশয় হয় ব্যাকটেরিয়া জনিত জীবানু দিয়ে। এ জীবাণু সাধারণত পানি ও খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। এছাড়া হাতের সাহায্য এ রোগ ছড়াতে পারে।লক্ষণঃ
- পেটে ব্যথা ও ঘন ঘন পায়খানা হয় এবং পায়খানা আঠালো ধরনের হয়ে থাকে।
- হাত-পা ব্যথা করে।
- শরীরে জ্বর থাকে, বমিও হতে পারে।
বৃস্টির দিনে অসুখ-বিসুখ এ আমাশয়ের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
বৃস্টির দিনে আমাশয়ের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সহায়ক ঔষধগুলো নিম্নরুপঃ
আর্সেনিক, চায়না, কার্বভেজ, মার্ক সল, ফসফরাস, পডোফাইলাম, পালসেটিলা, কুরচি ইত্যাদি।
সর্দি-কাশিঃ
বৃষ্টিতে ভিজলে কমন কোল্ড বা সাধারণ ঠান্ডা হয়। সাধারণ ভাবে কমন কোল্ড ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।লক্ষণঃ
- অনবরত নাক দিয়ে পানি ঝরে ও নাক বন্ধ থাকে।
- হাঁচি, গলা ব্যথা ও কাশি হয়।
- সামান্য জ্বর থাকতে পারে।
- গা, হাত-পা ব্যথা, চোখ জ্বালা করে।
- রুচি নষ্ট হয়ে যায় এবং নাকে গন্ধ না পাওয়া ও কানে চাপ অনুভূত হতে পারে।
বৃস্টির দিনে অসুখ-বিসুখ এ সর্দি-কাশির হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
বৃস্টির দিনে সর্দি-কাশির হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সহায়ক ঔষধগুলো নিম্নরুপঃ
একোনাইট, এলিয়াম সেপা, এন্টিম টার্ট, আর্নিকা, ব্রায়োনিয়া, বেলাডোনা, কস্টিকাম, ড্রসেরা, হিপার সালফ, ইপিকাক, ক্যালি কার্ব, ল্যাকেসিস, মার্কারি, ফসফরাস, পালসেটিলা, রিউমেক্স, স্পঞ্জিয়া, স্কুইলা ইত্যাদি।
ডেঙ্গু জ্বরঃ
বৃষ্টির কারণে এখানে ওখানে পানি জমে থাকে, যা ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার বংশবৃদ্ধির পক্ষে খুবই সহায়ক। কারন এডিস মশা জমে থাকা পরিস্কার পানিতে ( যেমন- ফুলের টব, নারকেলের মালা, ছাদের কার্নিস এবং যেখানে সেখানে পড়ে থাকা টিনের কৌটা, প্লাস্টিকের পাত্র, গাড়ির টায়ার, টিউব ইত্যাদি ) বংশ বৃদ্ধি করে। এসব কারণে বর্ষাকালে এডিস মশার প্রকোপও বাড়ে। তাই বাড়ে ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাবও।লক্ষণঃ
সাধারণত ক্লাসিক্যাল ও হেমোরেজিক দুই ধরনের ডেঙ্গুজ্বর আমাদের দেশে দেখা যায়। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গুজ্বর সাধারণ জ্বরের মতই। তবে হেমোরেজিক জ্বরে চামড়ার নিচে কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়তে পারে।- হঠাৎ জ্বর, মাথা ব্যথা, চোখের পেছনে, কোমরে, অস্থিসন্ধি বা হাড়ে ব্যথা অনুভব।
- তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রী পর্যন্ত হতে পারে।
- জ্বর শুরুর প্রথম দুই দিনে গলায় ফুস্কুড়ি দেখা দিতে পারে।
- দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ দিনে রোগীর ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব ( Nausea ), সর্দি-কাশি, গলাব্যথা , জিহ্বার স্বাদহীনতা হতে পারে।
- তিন-ছয় দিনের মাথায় জ্বর কমে যেতে পারে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ( যেমন-হাত, পা, মুখ ইত্যাদি ) ফুস্কুড়ি দেখা দিতে পারে। এগুলো সাধারণত এক-পাচঁ দিন স্থায়ী হয়।
- ফুস্কুড়ি উঠার পর জ্বর আবার দেখা দিতে পারে এবং সঙ্গে লসিকাগ্রন্থি ফুলে যেতে পারে।
প্রতিরোধঃ
- ভোরে এবং সন্ধ্যায় মশানিধন ঔষুধ দিতে হবে এবং রাতে মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে।
- বাড়ির আনাচে-কানাচে, টবে, টিনের কৌটায় বা কোনো পাত্রে, ছাদে কিংবা রাস্তাঘাটে বৃশটির পানি জমতে না দেওয়া।
- ঘরে রাখা প্রয়োজনীয় পরিস্কার পানির আধারগুলোতে কেরোসিন কিংবা একটু লবণ দিলে এডিস মশা বাড়তে পারে না।
- একোরিয়ামে ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে।
- সন্দেহজনক রোগীকে আলাদা করে অবশ্যই মশারির মধ্যে রাখতে হবে, যাতে রোগীকে কোনো মশা কামড়াতে না পারে।
বৃস্টির দিনে অসুখ-বিসুখ এ ডেঙ্গুজ্বরের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
বৃস্টির দিনে ডেঙ্গুজ্বরের হোমিওপ্যাথি চিকৎসার সহায়ক ঔষধগুলো নিম্নরুপঃ
একোনাইট, আর্সেনিক এল্ব, বেলাডোনা, ব্রায়োনিয়া, ক্যান্থারিস, চায়না, ইউপেটোরিয়াম পারফো, জেলসেমিয়াম, ইপিকাক, নাক্স ভম, রাসটক্স এবং রাসভেন ইত্যাদি।
টাইফয়েডঃ
টাইফয়েড বেশি হয় বর্ষায়। শারীরিক বর্জ্যের অপসারণের অব্যবস্থা টাইফয়েডের বড় কারণ। টাইফয়েড ব্যাসিলাস জীবাণুর সংক্রমণে রোগটি হয়। এ জীবাণু সাধারণত পানি এবং খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। মাছি এবং সংক্রমিত হাতের সাহায্যে এ রোগ ছড়াতে পারে।লক্ষণঃ
- প্রথম সপ্তাহে ( 1st week ) রোগীর মাথাব্যথা ও খারাপ লাগা এবং জ্বর শুরু হয়। দুই-তিন দিনে জ্বর ধাপে ধাপে ১০৩-১০৪ ডিগ্রী উঠে যার সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য ( Constipation ), বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পেটফাঁপা, পাতলা পায়খানা এবং ডানদিকে পেটের নিচে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। মৃদু কাশি, গলাব্যথা থাকতে পারে।
- দ্বিতীয় ( 2nd week ) সপ্তাহে জ্বর প্রায়ই সব সময়ই থাকে। পেট ফেঁপে ওঠে এবং এর সঙ্গে ব্যথাও পরিলক্ষিত হয়। এসময় পেটের উপরিভাগে এবং বুকের নিচের দিকে গোলাপি ফুস্কুড়ি দেখা যেতে পারে। এটি দুই-তিন দিন স্থায়ী হয়।
- তৃতীয় ( 3rd week) সপ্তাহকে জটিলতার সপ্তাহ বলা চলে। কারণ এ সপ্তাহেই বেশির ভাগ জটিলতা দেখা দেয়। উচ্চমাত্রায় জ্বর হয়। পেট বেশি রকম ফুলে যায় এবং রোগীর পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। অন্ত্রে রক্তপাত হতে পারে। শরীর ভীষণ রকম দুর্বল হয়ে পড়ে। ওজন কমে যায়।
প্রতিরোধঃ
- খাওয়ার আগে ও পরে ভালো করে হাত পরিস্কার করতে হবে।
- বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।
- প্রাণিজ ( Animal source ) খাদ্যগুলো ভালোভাবে রান্না করতে হবে।
- শাকসব্জিও টাইফয়েড জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে এবং কাঁচা খেলে তা থেকেও টাইফয়েড হতে পারে। তাই শাকসব্জি ভালো করে ধুয়ে রান্না করে খেতে হবে।
- হোটেলের খাবার অথবা বাইরের খাবার অবশ্যই যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
- রাস্তা ঘাটে অপরিশুদ্ধ পানি, শরবত এগুলো খাওয়া যাবে না। পানি অবশ্যই বিশুদ্ধ হতে হবে।
বৃস্টির দিনে অসুখ-বিসুখ এ টাইফয়েডের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
বৃস্টির দিনে টাইফয়েডের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সহায়ক ঔষধগুলো নিম্নরুপঃ
আর্সেনিক এল্ব, ব্যাপটিসিয়া, ব্রায়োনিয়া, আর্নিকা, চায়না, কার্বভেজ, ল্যাকেসিস, ক্যালিফস, জেলসেমিয়াম,আসিড ফস, এসিড মিউর, রাসটক্স এবং হাইয়োসিয়ামাস ইত্যাদি।
COMMENTS