জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ির সুবিধা ও অসুবিধা। কন্ট্রাসেপ্টিভ পিল শুধু শহুরে জীবনে নয়, গ্রামেও এর ব্যাপক প্রসার পেয়েছে। এটি একটি জন্মনিয়ন্ত্রনের পদ্ধতি।
জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ির সুবিধা ও অসুবিধা।
জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি বা কন্ট্রাসেপ্টিভ পিল শুধু শহুরে জীবনে নয়, গ্রামেও এর ব্যাপক প্রসার পেয়েছে। জন্মনিয়ন্ত্রনের বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে এটি একটি। এটা সেবনের মাধ্যমে রক্তে প্রোজেস্টেরনের পরিমাণ বাইরে হতে প্রয়োগ করে গর্ভ নিবারন করা হয়।
এর অন্যথা হলে অর্থাৎ ঋতুচক্র যদি কম বা বেশি দিনের হলে এ নিয়ম মানা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। ঋতুচক্র কারও ২০ দিনেরও হতে পারে আবার কারও ৪৫ দিনেরও হতে পারে।
ঋতুচক্রে ৫-২৫ তম দিন পর্যন্ত প্রতিদিন একটি করে বড়ি খেতে হয়।
অসুবিধাগুলো হলঃ
জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ির সুবিধা ও অসুবিধা। |
আনসেফ বা ঝুঁকিপূর্ণ সময়ঃ
ঋতুচক্রের বা মিন্সট্রুইয়াল সাইকেলের ৯ তম দিন থেকে ১৯ তম দিন পর্যন্ত সময়টা হচ্ছে আনসেফ বা ঝুঁকিপূর্ণ সময়। উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে ঋতুচক্র অবশ্যই ২৮ দিনের হতে হবে।সেফ বা নিরাপদ সময়ঃ
ঋতুচক্রের ৯-১৯ তম দিন বাদে বাকি সময় সেফ বা নিরাপদ সময় হিসেবে অভিহিত। এক্ষেত্রেও ঋতুচক্র অবশ্যই ২৮ দিনের হতে হবে।এর অন্যথা হলে অর্থাৎ ঋতুচক্র যদি কম বা বেশি দিনের হলে এ নিয়ম মানা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। ঋতুচক্র কারও ২০ দিনেরও হতে পারে আবার কারও ৪৫ দিনেরও হতে পারে।
ঋতুচক্রে ৫-২৫ তম দিন পর্যন্ত প্রতিদিন একটি করে বড়ি খেতে হয়।
কিভাবে কাজ করেঃ
জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি বা কন্ট্রাসেপটিভ পিলে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন দুটো হরমোন দ্বারা তৈরি। প্রোজেস্টেরন হরমোনের উপস্থিতিতে ডিম্বাশয় হতে পরিণত ডিম্বাণু উৎপাদন ও নিঃসরণের ব্যাঘাত ঘটে। হরমোনগুলো মস্তিস্কের হাইপোথ্যালামাসের উপর ক্রিয়া করে এবং গোনাডোট্রপিক হরমোন নিঃসরণে বাধা দেয় এবং ডিম্বাণু নিঃসরণ হয় না। ফলে গর্ভধারণের কোন ঝুঁকি থাকে না।সুবিধাগুলো হলঃ
- জন্মনিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।
- এর ব্যবহার খুবই সহজ।
- পিল ঋতুচক্র নিয়মিত করে।
- লৌহের অভাব ঘটিত রক্তস্বল্পতা কমায়।
- তলপেটের বিভিন্ন প্রদাহিক রোগ প্রতিরোধ করে।
- ব্রনের উন্নতি করে।
- স্তনের সিস্টের উন্নতি করে।
- নারীদের অতিরিক্ত চুল গজানো রোধ করে (মুখে ও দেহে )।
- অতিরিক্ত রক্তস্রাবে বাধা দেয়।
- অনেক নারীর জন্যই নিরাপদ।
- হাড়ের ক্ষয় রোধ করে।
অসুবিধাগুলো হলঃ
- সাময়িক বমি বমিভাব অথবা বমি হওয়া।
- মাথাব্যথা ও মাথাঘোরা।
- স্তনে ব্যথা
- বিষন্নতা
- পেট কামড়ানো ও মাসিকের সময় পেটেব্যথা হওয়া
- রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়া
- হার্ট এটাকের আশংকা বেড়ে যাওয়া
- সাদা স্রাব বের হওয়া
- যোনী এবং যোনী মুখে ক্যান্ডিডার আক্রমন
- যৌনানন্দ কমে যায়
- ওজন বেড়ে যাওয়া
- চর্বি বেড়ে যাওয়া
- গল ব্লাডার স্টোন
- প্যানক্রিয়াটাইটিস বা অগ্নাশয়ে ইনফেকশন
- রক্ত নালীতে রক্তের জমাট বেঁধে যাওয়া
- স্তনে ক্যান্সার
- জরায়ুতে ফাইব্রয়েড নামক টিউমার হওয়া
- দুগ্ধবতী মায়েদের দুধ কমে বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদ্ধতি আছে, আমাদের ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন পদ্ধতিটি সবার জন্য উপযোগী।
COMMENTS