জলবসন্ত রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা। জলবসন্ত একটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ যা হারপিস পরিবারের সদস্য ভেরিসেলা জোস্টার ভাইরাস দ্বারা গঠিত।
জলবসন্ত রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
জলবসন্ত একটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ যা হারপিস পরিবারের সদস্য ভেরিসেলা জোস্টার ভাইরাস দ্বারা গঠিত। খুব কম শিশুরাই জল বসন্ত সংক্রমণ হতে অব্যাহতি পায়। এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কাশি ও হাঁচি-এমনকি হাসতে হাসতে এবং কথা বলা অবস্থাতেও এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
কোনো উপসর্গ প্রকাশের এক বা দুই দিন আগে থেকেই একটি শিশু সংক্রামক। এই সময়ে সংক্রমিত বাচ্চার সঙ্গে যারা খেলছে তারা প্রায় নিশ্চিতভাবেই রোগক্রান্ত হতে পারে। এমনকি সব ফোসকা পুঁজ তৈরীর আগে পর্যন্ত সংক্রামিত শিশুটি ছোঁয়াচে থাকে।
জলবসন্ত সাধারণত অন্য সব ভাইরাল অসুস্থতার মত মাথা ব্যাথা, ক্লান্তি, ক্ষুধামান্দ্য, এবং জ্বর হয়। প্রথম বা পরের দিনে মসৃণ লাল, কাল বিন্দু যুক্ত ফুস্কুড়ি থাকে , ফুস্কুড়ি সাধারণত বুকে, পেটের উপর এবং পিছনে শুরু হয়, পরে এবং মুখ এবং মাথার খুলিতে ছড়িয়ে পড়ে।
কোনো উপসর্গ প্রকাশের এক বা দুই দিন আগে থেকেই একটি শিশু সংক্রামক। এই সময়ে সংক্রমিত বাচ্চার সঙ্গে যারা খেলছে তারা প্রায় নিশ্চিতভাবেই রোগক্রান্ত হতে পারে। এমনকি সব ফোসকা পুঁজ তৈরীর আগে পর্যন্ত সংক্রামিত শিশুটি ছোঁয়াচে থাকে।
জলবসন্ত সাধারণত অন্য সব ভাইরাল অসুস্থতার মত মাথা ব্যাথা, ক্লান্তি, ক্ষুধামান্দ্য, এবং জ্বর হয়। প্রথম বা পরের দিনে মসৃণ লাল, কাল বিন্দু যুক্ত ফুস্কুড়ি থাকে , ফুস্কুড়ি সাধারণত বুকে, পেটের উপর এবং পিছনে শুরু হয়, পরে এবং মুখ এবং মাথার খুলিতে ছড়িয়ে পড়ে।
![]() |
জলবসন্ত রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা |
শীঘ্রই ছোট ছোট গুচ্ছাকারে অনেক লাল ফুসকুড়ি একসঙ্গে বেরিয়ে আসে। পরবর্তী তিন থেকে পাঁচ দিন ধরে নতুন ফুস্কড়ি উঠতে থাকে। পাঁচ থেকে ছয় দিনে ফোস্কুড়িগুলি পুরোপুরি বিকাশিত হয়ে পুঁজ তৈরী হয়। এভাবে এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে পুঁজ শুকিয়ে আবার নতুন পরিস্কার চামড়ার মাধ্যমে জল বসন্ত শেষ পর্যায়ে চলে আসে।
কারণসমূহ:
হারপিস জোস্টার ভাইরাস সংক্রমণ ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে হাচি-কাশি বা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ দ্বারা ছড়ায়। আক্রমনের ৭ থেকে ২১ দিন পরে লক্ষণ প্রকাশ হতে পারে।মা গর্ভাবস্থার সময় অথবা পূর্বে জল বসন্ত হয়ে থাকলে নতুন জন্মগ্রহণকারী শিশু বেশ কয়েক মাস সুরক্ষিত থাকে। এই প্রতিরোধ ক্ষমতা ৪ থেকে ১২ মাসের মধ্যে শেষ হতে পারে।
লক্ষণসমূহ:
জলবসন্তের প্রধান উপসর্গ প্রথমে বুকে এবং পেটে প্রদর্শিত হয় এবং তারপর মুখ, বাহু, ও পায়ে ছড়িয়ে পড়ে যা ছোট, লাল, তরল ভরাট ফোস্কুড়ি। এছাড়াও মাথার খুলি এবং যৌনাঙ্গ প্রদর্শিত, এবং নাক, কান, মুখ ভিতরে ফুস্কুড়ি হতে পারে। কয়েক দিন পরে, ফোসকা গলে শুষ্ক হয়, পুঁজ তৈরি হয়।![]() |
জলবসন্ত রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা |
পুঁজ তৈরির পরে এটি আর ছোঁয়াচে থাকে না। ফুস্কুড়ি খুব চুলকানিযুক্ত হয় যা সহ্য করা খুবই কঠিন, কিন্তু এতে স্কার বা দাগ বসে যেতে পারে যা সৌন্দর্য নষ্ট হতে পারে। এছাড়াও সামান্য জ্বর ও পেটে ব্যথা, গিরায় গিরায় ব্যথা, ক্ষুধামন্দ্যা, গলায় ঘাঁ, এবং সাধারণত অসুস্থ মনে হতে পারে থাকতে পারে।
বিরল জটিলতা:
নিউমোনিয়া (বিশেষ করে বড়দের), চামড়া সংক্রমণ, রক্ত সংক্রমণ, বা মস্তিষ্কের সংক্রমণ সহ জটিলতার ঝুঁকি থাকে। সবসময় জ্বর বা শরীর গরম, লালভাব বা ত্বক ফুলে থাকলে সংক্রমণ হয়েছে বু্ঁঝতে হবে, এতে অবশ্যই চিকিৎসকের মতামত নেওয়া উচিত।রোগ নির্ণয়:
চরিত্রগত লক্ষণ দেখেই রোগ নির্ণয় করা যায়, সাধারণত ল্যাবরেটরি পরীক্ষা প্রয়োজন হয় না. যাইহোক, ভাইরাস প্রথম ৩ বা ৪ দিন থেকে ফুসকুড়ি তরল থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে; জিয়েসমা স্ট্যাইন দ্বারা vaccinia এবং variola ভাইরাস থেকে varicella-zoster আলাদা করা যাবে। আক্রমণের ৭ দিন পর রক্তে সেরাম আন্টিবডি পাওয়া যায়।জলবসন্তে ঘরে যত্ন:
অধিকাংশ ক্ষেত্রে, শিশুদের আরামদায়ক রাখাতে যথেষ্ট চেষ্টা করতে হবে। হাল্কা গরম পানিতে চামড়ার উপর ফুস্কুড়িসহ হাল্কাভাবে ধুয়ে দিতে হবে,আরাম দায়ক কাপড়ে আবৃত রাখতে হবে, এন্টি হিস্টামিন লোশন চুলকানি স্বাচ্ছন্ধে সাহায্য করতে পারে। দ্বিতীয় সংক্রমণ কমাতে আঙুলের নখ ছোট করে কেটে দিতে হবে।প্রতিরোধ:
সুস্থ শিশুকে ১২ মাস বা পরে Varicella টিকা দেওয়া হয়, এটা সম্পূর্ণভাবে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারেন না, কিন্তু লক্ষণ সুপ্ত হয়ে থাকে।জলবসন্ত রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
হোমিওপ্যাথি ওষুধ সবচেয়ে জনপ্রিয় রোগ নিরাময়ের একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র ও সদৃশ উপসর্গের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা হয়। এটি উপসর্গ ও জটিলতা মুছে ফেলে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য অবস্থায় রোগীর ফিরে যাবার একমাত্র উপায়। সদৃশবিধানের লক্ষ্য শুধু জলবসন্ত চিকিৎসা নয়, তার অন্তর্নিহিত কারণ ও স্বতন্ত্র প্রবণতা মোকাবেলায়ও সহায়তা করে। স্বতন্ত্র ঔষধ নির্বাচন এবং চিকিত্সার জন্য, রোগীকে একজন যোগ্যতাসম্পন্ন ও রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। জলবসন্ত রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সহায়ক ঔষধগুলো নিম্নরুপঃএন্টিম ক্রুড, ভেরিওলিনাম, রাসটক্স, সালফার, পালসেটিলা, লিডাম পল, মার্ক সল, থুজা, কার্বোভেজ, এন্টিম টার্ট, সেপিয়া, সাইলিসিয়া, ন্যাট্রাম মিউর, ইপিকাক, বেলাডোনা, একোনাইট, হায়োসায়ামাস, কফিয়া, সাইক্লামেন, কোনিয়াম, কস্টিকাম, আর্সেনিক এল্বা ইত্যাদি।
জলবসন্ত রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা |
জলবসন্ত রোগে যা করবেন এবং যা করবেন নাঃ
যা করবেনঃ
- পানিশূন্যতা (dehydration) এড়াতে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন (আপনার সন্তান যদি পান না করে তবে আইস ললি ব্যবহার করুন)।
- ব্যথা এবং অস্বস্তিতে সাহায্য করার জন্য হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নিন।
- সন্তানের আঙুলের নখ কেটে দিন এবং রাতে তাদের হাতে মোজা রাখুন যাতে তারা চুলকিয়ে ক্ষত তৈরী করতে না পারে।
- ফার্মেসি থেকে কুলিং ক্রিম বা জেল ব্যবহার করতে পারেন।
- ঠাণ্ডা জলে স্নান করুন এবং ত্বক শুকিয়ে নিন (ঘষবেন না)।
- ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
যা করবেন নাঃ
- ডাক্তারের পরামর্শ না থাকলে আইবুপ্রোফেন ব্যবহার করবেন না, কারণ এটি ত্বকের গুরুতর সংক্রমণের কারণ হতে পারে।
- ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের অ্যাসপিরিন দেবেন না।
- নবজাতক শিশুদের কাছাকাছি, যারা গর্ভবতী এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের কাছে যাবেন না, কারণ চিকেনপক্স তাদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
- জলবসন্তের ফুস্কুড়িতে চুলকাবেন না, কারণ আঁচড়ের কারণে ত্বকে দাগ পড়তে পারে।
amar chicken pox hoise accha dag uthanor jnno ki kora jete pare?