নারী বা পুরুষের যৌনাকাঙ্খা কমে যাওয়ার লক্ষণ ও প্রতিকার। বিবাহের ২-৩ বছর পর থেকেই অনেক পুরুষ বা নারীর যৌনমিলনের আকাঙ্খা কমে যায়, যা বিবাহিত জীবনে...
নারী বা পুরুষের যৌনাকাঙ্খা কমে যাওয়ার লক্ষণ ও প্রতিকার।
বিবাহের ২-৩ বছর পর থেকেই অনেক পুরুষ বা নারীর যৌনমিলনের আকাঙ্খা কমে যায়, যা বিবাহিত জীবনে মোটেও সুখকর নয়। তাই যৌনমিলনের আকাঙ্খা কমে কমে যাওয়ার লক্ষণ ও প্রতিকার নিম্নে তুলে ধরা হলো:
নারী বা পুরুষের যৌনাকাঙ্খা কমে যাওয়ার লক্ষণ ও প্রতিকার। |
নারী বা পুরুষের যৌনাকাঙ্খা কমে যাওয়ার লক্ষণঃ
১. দুই মাসেরও বেশি সময় যাবৎ যৌনমিলনের প্রতি কোন আগ্রহ অনুভব না করা।২. যৌনমিলন এড়িয়ে যাওয়া, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌনমিলনের আকাঙ্খা অত্যন্ত কম অনুভব করা কিংবা যৌনমিলনের প্রতি দুঃশ্চিন্তা বা উদ্বেগ থাকা।
৩. কখনও কখনও আগেই বীর্যপাত হওয়া, যৌনমিলনের সময় ব্যথা হওয়া, লিঙ্গভঙ্গ বা অক্ষমতা কিংবা তীব্র যৌনসুখ পেতে অক্ষমতা।
যা করা উচিতঃ
১. আপনার যৌনজীবন নিয়ে বিভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা করে দেখুন। ভিন্নস্থানে যৌনমিলনে লিপ্ত হন, ভিন্ন অবস্থানে বা পজিশনে যৌনমিলন করুন এবং একই সময়ে যৌনমিলনে লিপ্ত না হয়ে বরং বিভিন্ন সময়ে যৌনমিলনে লিপ্ত হোন।২. যদি আপনার মধ্যে উদ্বেগ থাকে যে আপনি ঠিকমতো যৌনমিলনে সক্রিয় হয়ে উঠতে পারবেন কিনা সেক্ষেত্রে সেটা আপনার যৌনসঙ্গীর সাথে আলাপ করুন, তবে যৌনমিলনের সময় এ কাজটি না করে আগে করুন।
৩. আপনাকে কোন বিষয়গুলো যৌনকার্যে সক্রিয় করে তোলে সে বিষয়ে আপনার সঙ্গীর সাথে আলাপ করুন।
৪. যৌন উদ্দীপক বইপত্র পড়ুন, যৌন উদ্দীপক ছবিও দেখতে পারেন কিংবা যৌন বিষয়ক কল্পনাতেও নিজেকে নিয়োজিত করে দেখতে পারেন। অবশ্য যদি এগুলো আপনাকে আকর্ষিত করে তবে।
যখন ডাক্তার দেখাবেনঃ
১. যদি যৌন মিলনের আগ্রহ কমে যাওয়ায় আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে দাম্পত্য জীবনে ঝামেলা বা অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।২. যদি আপনার মধ্যে ধজঃভঙ্গ/লিঙ্গভঙ্গ বা এ সংক্রান্ত অক্ষতার জন্ম নেয় কিংবা যদি যৌনমিলনের সময় যৌনাঙ্গে ব্যথা হয়।
৩. নিজে নিজে যৌন উদ্দীপ্ত হতে অক্ষম হলে, হয়তো আপনার কোন রোগ হয়েছে।
৪. যদি আপনার মনে হয় কোন ওষুধ সেবনের কারণে আপনার এই অবস্থা হয়েছে।
৫. যদি এই কারণে আপনি বিষন্ন এবং বিষাদময় হয়ে ওঠেন।
নারী বা পুরুষের যৌনাকাঙ্খা কমে যাওয়া প্রতিরোধঃ
১. স্ট্রেস বা চাপ কমাবার লক্ষ্যে যা কিছু করা প্রয়োজন করুন।২. নিয়মিত ব্যায়াম চর্চা করুন, ভালো খাবার খান এবং প্রচুর পরিমাণে ঘুমান।
৩. আপনার জীবনসঙ্গীকে যথেষ্ট সময় দিন অর্থাৎ তার সাথে যথেষ্ট সময় অতিবাহিত করুন।
৪. আপনাদের সম্পর্কের মাঝে কোন সমস্যা তৈরি হবার আগেই সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
COMMENTS